সম্মানিত ক্রেতাবৃন্দ,

হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার সব সময় কাস্টমারদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এতদসত্বেও গ্রাহক সেবার মান উন্নত, সময়োপযোগী এবং দ্রুততর করার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন মেনে কার্য পরিচালনা করতে হয়। সম্মানিত গ্রাহকগণের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার থেকে পণ্য কেনার পূর্বে নিচে উল্লেখিত নিয়মাবলি ভালোভাবে অনুসরণ করবেন। ধন্যবাদ।

ওয়ারেন্টি সেবা:
বিক্রয়ের সময় যে সমস্ত প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টি ঘোষণা করা হয়, সেগুলো মূলত পণ্য প্রস্তুতকারক কর্তৃক প্রদত্ত ওয়ারেন্টি। অর্থাৎ বিক্রিত পণ্যের ওয়ারেন্টি সেবা মূলত নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের মূল কোম্পানি বহন করে থাকে। ওয়ারেন্টি সেবার ভিন্নতার দিক থেকে প্রতিটি ব্র্যান্ড স্বতন্ত্র এবং তাদের বিভিন্ন শর্তাবলী নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা আছে। এ ক্ষেত্রে হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার মূল ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলোর ওয়ারেন্টি সেবার শর্তাবলী কার্যকর করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়ারেন্টি শর্তাবলী:
হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার প্রতিটি প্রোডাক্টের আন্তর্জাতিক, দেশীয়, এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (BCS) কর্তৃক প্রদত্ত ওয়ারেন্টি নীতিমালা অনুসরণ করে।
ওয়ারেন্টি হল এমন একটি সেবা যা উৎপাদনকারী বা আমদানিকারক এবং ক্রেতার মধ্যে একটি চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে ক্রেতা উৎপাদনকারী বা আমদানিকারকের উপর বিক্রিত পণ্যের মেরামত বা প্রতিস্থাপনের দায়িত্ব বর্তায়। হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার ক্রেতাকে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে এবং ক্রেতা ও উৎপাদনকারী বা আমদানিকারকের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে।
হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার কর্তৃক আমদানিকৃত অধিকাংশ প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টি স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রদান করা হয় এবং বেশ কিছু প্রোডাক্টের অভিযোগ আসা মাত্র তা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।
বিক্রিত সব প্রোডাক্টে ওয়ারেন্টি প্রদান করা হয় না। শুধুমাত্র যেসব প্রোডাক্টে মূল কোম্পানি ওয়ারেন্টি মেয়াদ ঘোষণা করে থাকে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি কার্যকর হয়।
ল্যাপটপের ব্র্যান্ড ও মডেলভেদে ওয়ারেন্টি ১-৩ বছর হয়। তবে সকল ল্যাপটপ ব্যাটারি ও অ্যাডাপ্টারের ওয়ারেন্টি শুধুমাত্র ১ বছর।
ওয়ারেন্টির আওতাভুক্ত কোনো প্রোডাক্ট বিক্রির পর তাতে ত্রুটি ধরা পড়লে, মেরামতের মাধ্যমে সেই ত্রুটি দূর করা হয় এবং পণ্যের প্রকারভেদে তা সাথে সাথে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।
নির্দিষ্ট মডেলের প্রোডাক্ট বদলে দেওয়ার মতো না থাকলে, হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার নিজস্ব স্টকে বর্তমান অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সমমানের পণ্য দিয়ে বদল করে দিতে পারে।
নির্দিষ্ট মডেলের প্রোডাক্ট মেরামতের অযোগ্য এবং বদলে দেওয়ার মতো একই বা সমমানের পণ্য আমাদের স্টকে না থাকলে, তা থেকে ভাল কোনো প্রোডাক্ট অবচয় ও মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে বদলে দেওয়া যেতে পারে।
নির্দিষ্ট মডেলের প্রোডাক্ট মেরামত বা বদলে দেওয়ার অযোগ্য হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার এর কাছে বর্তমান না থাকলে, বিক্রয় অবচয় সমন্বয়ের মাধ্যমে মূল্যের অর্থ ফেরত দেওয়া যেতে পারে।
প্রোডাক্ট ব্যবহারের সময় কিংবা হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার এর সার্ভিসের সময় যদি কোনো সফটওয়্যার বা ডাটা নষ্ট বা হারিয়ে যায়, এর দায়ভার হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার বহন করবে না।
নির্দিষ্ট মডেলের প্রোডাক্ট ওয়ারেন্টির আওতায় নেওয়ার পর সার্ভিসের কাজ শেষ করে প্রোডাক্টটি ফেরত দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট নয়। এই সময় ৫-৭ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ দিন বা তারও বেশি হতে পারে, কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দেশে পর্যাপ্ত না থাকায় তা বিশেষভাবে আমদানি করতে হয় যা অনেক সময় সাপেক্ষ।
ক্রেতাসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বেশিরভাগ ওয়ারেন্টি প্রোডাক্ট রিপেয়ার হয় না, বরং যে পার্টসটি নষ্ট হয়, সেটা পরিবর্তন করা হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।
বিক্রয়ের সময় যে কম্পিউটার সেটআপ ও অপারেটিং সিস্টেম কাস্টমাইজ করে দেওয়া হয়, তা ওয়ারেন্টির আওতায় থাকে না।
লাইফ টাইম ওয়ারেন্টি মূলত বাজারে প্রচলিত পণ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ার সময়কাল পর্যন্ত ঐ পণ্যের ওয়ারেন্টি সেবা প্রদানকে লাইফ টাইম ওয়ারেন্টি বুঝায়। কোনো পণ্যের ‘লাইফ টাইম’ ওয়ারেন্টির আওতায় ওই পণ্যটি মার্কেটে প্রচলিত পণ্য হলে, ক্রেতা ওয়ারেন্টি সেবা প্রাপ্ত হবে। কোনো পণ্য বাজারে EOL (End of Life) হিসেবে গণ্য হলে অর্থাৎ পণ্যটি যদি অপ্রচলিত হয়ে পড়ে তবে তা আর ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না। উল্লেখ্য, লাইফ টাইম ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে বিসিএস-এর নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহক বা ক্রেতা সর্বোচ্চ ২(দুই) বছর এ সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
ওয়ারেন্টির আওতাবহির্ভূত যেকোনো সার্ভিসের জন্য হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার মূল্য ধার্য করতে পারে যা ক্রেতার সম্মতি সাপেক্ষে কার্যকর হবে।
সার্ভিস ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে যদি কোনো যন্ত্রাংশ পরিবর্তন বা সংযোজনের প্রয়োজন হয়, তাহলে ক্রেতা সাধারণ তা নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করবেন বা ক্রেতাগণের সম্মতিতে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার এর মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন।
ওয়ারেন্টির নির্ধারিত মেয়াদ থাকাকালীন বা উত্তীর্ণ হওয়ার পরে হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার কর্তৃক প্রদত্ত ফ্রি সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার টিউনিং এ যদি প্রোডাক্টে কোনো সমস্যা দেখা দেয় বা নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়, তার দায়ভার হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার এর উপর থাকবে না।
মনিটরের ডেড পিক্সেল (Dead Pixel) সংক্রান্ত ওয়ারেন্টি ক্লেইমের জন্য তাতে ন্যূনতম ৩ বা তার বেশি ডেড পিক্সেল দৃশ্যমান হতে হবে।
প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টি ক্লেইমের সময় ক্রেতাকে প্রোডাক্টের বক্স সাথে নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক।
ওয়ারেন্টি কার্যকর হবে না বা শর্তসাপেক্ষে প্রযোজ্য হতে পারে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে:
অসতর্কভাবে ব্যবহারের কারণে যেমন পানিতে ভিজে যাওয়া, ভেঙে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া, গভীর আঁচড়ের দাগ প্রভৃতি কারণে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে তা ওয়ারেন্টির আওতায় থাকবে না।
কোনো পণ্যের সিরিয়াল বা সিরিয়াল স্টিকার আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে মুছে গেলে, উঠে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তখন পণ্যটি আর ওয়ারেন্টির আওতায় থাকবে না।
মাদারবোর্ড, গ্রাফিক্স কার্ড এবং র‌্যামের গায়ে ফাংগাস, মরিচা বা গভীর ক্ষত বা আঁচড় থাকলে, উক্ত মাদারবোর্ড, গ্রাফিক্স কার্ড বা র‌্যাম ওয়ারেন্টির আওতায় থাকবে না।
মাদারবোর্ড এবং প্রসেসরের ক্ষেত্রে এক বা একাধিক পিন সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাঙা, বাঁকা বা বিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেলে পণ্যটি ওয়ারেন্টির আওতায় থাকবে না।
হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার কোনো ল্যাপটপ, ডেস্কটপ বা অন্য যেকোনো পণ্য ডেলিভারির সময় কোনো প্রকার পাসওয়ার্ড বা সিকিউরিটি কোড প্রয়োগ করে না। সেহেতু ল্যাপটপ, ডেস্কটপ বা অন্য যেকোনো ডিভাইসে BIOS পাসওয়ার্ডের দায়িত্ব সম্পূর্ণ ক্রেতার উপর বর্তাবে। এটি ওয়ারেন্টির আওতায় থাকবে না।
Apple MacBook-এর নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম মুছে ফেললে, পণ্যটি আর ওয়ারেন্টির আওতায় থাকবে না।
প্রিন্টার কার্টিজ, টোনার, হেড, রোলার, ড্রাম, এলিমেন্ট কভার ইত্যাদি যন্ত্রাংশ ওয়ারেন্টির আওতাবহির্ভূত।
প্রিন্টারের ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত কালি, ইংক কার্টিজ বা টোনার কার্টিজ ব্যতীত অন্য কালি, ইংক কার্টিজ বা টোনার কার্টিজ ব্যবহার করলে ওয়ারেন্টির আওতায় থাকবে না।
নির্দিষ্ট মডেলের কম্বো (যুগল) কিবোর্ড-মাউসের (যেসব কিবোর্ড-মাউস একসাথে বান্ডেল হিসেবে বিক্রি হয়) ক্ষেত্রে কিবোর্ড বা মাউস যেকোনো একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়ারেন্টির জন্য সম্পূর্ণ কম্বো (যুগল) সেটটি উপস্থাপন করতে হবে। শুধুমাত্র কিবোর্ড বা মাউস আলাদাভাবে ওয়ারেন্টির জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রিন্টার, স্ক্যানার, রাউটার, সুইচ, এক্সেস পয়েন্ট, টিভি কার্ড ইত্যাদি এবং একই ধরনের প্রোডাক্টের পাওয়ার অ্যাডাপ্টার ওয়ারেন্টির আওতায় থাকবে না।
কোনো নির্দিষ্ট প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টি প্রদানের পর যদি ওয়ারেন্টি বা সার্ভিস বিভাগে ২ মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হয়, তবে উক্ত প্রোডাক্টের দায়ভার কোম্পানি বহন করবে না।
নির্দিষ্ট প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টি রিসিভ পেপার হারিয়ে গেলে ক্রয়ের রশিদ ও যথাযথ প্রমাণ প্রদান সাপেক্ষে প্রোডাক্টটি গ্রহণ করা হবে।

বি.দ্র.: কিছু অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার এর ইনভয়েস নকল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নকল পণ্য বিক্রয় করে ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায় হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার এর পণ্য (ব্যবহৃত/অব্যবহৃত) অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয়ের পূর্বে অবশ্যই ইনভয়েস যাচাই করে নিতে কল করুন: 01919-192466, মেইল করুন: [email protected], অথবা আমাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে মেসেজ করুন।

উল্লেখ্য: ইনভয়েস যাচাই না করে ফেক ইনভয়েসে হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার এর পণ্য ক্রয় করে প্রতারিত হলে, এর কোনো প্রকার দায়িত্ব হোসেন ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার বহন করবে না।

ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শ বা অভিযোগের জন্য ইমেইল করার ঠিকানা:
[email protected]